কোন ফলের সাথে কোন ফল খাওয়া যাবে না জেনে নিন

 ফল ভিটামিনের মূল উৎস।এক এক ফলে এক এক ধরনের ভিটামিন রয়েছে।এক ভিটামিন যুক্ত ফলের সাথে অন্য ভিটামিন যুক্ত ফল খেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।পাঠক আপনি কি কোন ফলের সাথে কোন ফল খাওয়া যাবে না তা জানতে চান?

এই পোস্টের মাধ্যমে কোন ফলের সাথে কোন ফল খাওয়া যাবে না,প্রতিদিন কতটুকু ফল খাওয়া উচিত,ভাত খাওয়ার পর ফল খেলে কি হয়,কোন ফল খালি পেটে খাওয়া যায় না,সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

ভূমিকা

ফল আমাদের দেহে পুষ্টির যোগান দেয়।তবে এই ফল খেতে হবে সঠিক নিয়মে।সঠিক নিয়ম মেনে ফল না খেলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীনও হতে পারেন।তাই কোন ফলের সাথে কোন ফল খাওয়া যাবেনা টা জানা জরুরি।এক এক ফলে রয়েছে এক এক ধরনের ভিটামিন।আমরা যদি সঠিক নিয়ম মেনে ফল খায় তবে আমরা উপকৃত হব।

প্রতিদিন কতটুকু ফল খাওয়া উচিত

ফলে ভিটামিন আছে বলেই যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণে ফল খেয়ে ফেলবো এমনটি করা মোটেও ঠিক নয়।বরং ফল খেতে হবে নিয়ম মেনে পরিমিত পরিমাণে।অতিরিক্ত পরিমাণে ফল খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো নয়।তাই প্রতিদিন কতটুকু ফল খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানতে হবে। 


একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ১১৫ গ্রাম ফল খাওয়া প্রয়োজন তবে তা সম্ভব না হলে সর্বনিম্ন ৬০ গ্রাম খেতে পারেন।তবে বয়স,উচ্চতা,শারীরিক অবস্থা, ওজনের ওপর ভিত্তি করে ফল খাওয়ারে পরিমাণে ভিন্নতা আসতে পারে।

ভাত খাওয়ার পর ফল খেলে কি হয়

ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম খাবার খাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে অথবা খাবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে।তবে খাবারের ওপর ভিত্তি করে ফল খাবারের সময় কমতে বাড়তে পারে।যেমন ভারী খাবার খেলে ৩-৪ ঘণ্টা পরে ফল খেতে হবে।


ভাত খাবার পর পরই ফল খাওয়া একদম অনুচিত এতে খাবার হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ভাত খাবার এক থেকে দুই ঘণ্টা পরে ফল খাওয়া ভালো।

কোন ফলের সাথে কোন ফল খাওয়া যাবে না

  • অ্যাসিডিক,সব অ্যাসিডিক ও মিষ্টি ফল একসঙ্গে খাওয়া একদমই অনুচিত।দেখে নিন কোন ফলের সাথে কোন ফল খাওয়া ঠিক নয়।
  • পেয়ারা ও কলা:পেয়ারা অ্যাসিডিক ফল আর অন্যদিকে কলা মিষ্টি ফল যাতে শর্করা বিদ্যমান।অ্যাসিড আর শর্করা একত্রিত হয়ে মাথাব্যাথা,বমি,অ্যাসিডিটির মত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • আম ও কলা:আম খেলে অনেকের অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় আবার কলাতেও অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আম ও কলা একসাথে খেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • খেজুর ও আঙ্গুর:আঙ্গুর অ্যাসিডিক ফল আর অন্যদিকে খেজুর মিষ্টি জাতীয় ফল এই দুটি ফল একসাথে খেলে বিক্রিয়া হয়ে মাথা ঘোরা,ক্লান্তির মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • লেবু ও পেঁপে:লেবুর রস পেঁপের সঙ্গে মিক্স করলে ভিন্ন স্বাদের সৃষ্টি হয় ফলে অনেকে এই দুইটি ফল এক সঙ্গে খান যা একদমই অনুচিত।লেবু ও পেঁপে একসঙ্গে খেলে শরীরে রক্ত সল্পতা ও হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্যতা দেখা দেয়।
  • তরমুজ ও অন্যান্য ফল:তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকাই এর সাথে অন্য কোনো ফল খাওয়া ঠিক নয়।এর সাথে অন্য ফল খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কোন ফল খালি পেটে খাওয়া যায় না

যে কোনো অ্যাসিড জাতীয় ফল খালি পেতে খাওয়া ঠিক নয়।অনেকে ওজন কমানোর জন্য খালি পেটে গরম পানির সাথে লেবুর রস মিক্স করে খান যার ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।


তবে খালিপেটে খেজুর,পেঁপে জাতীয় ফল খাওয়া যেতে পারে।তবে ডাইবেটিক্স রোগির খালি পেটে খেজুর খাওয়া যাবেনা।তবে যাদের ডাইবেটিক্স নাই তারা খেতে পারেন শরীরে সারা দিনের কাজ করার শক্তি পাবেন। খালি পেটে পেঁপে খেলে কষ্টকাঠিন্যর সমস্যা দূর হবে।

শেষ কথা

ফল শরীরের জন্য উপকারী তবে তা সময় বুঝে নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে।পুষ্টিগুণ বুঝে সঠিক নিয়মে ফল খেলে আমাদের শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে এবং ফল খাওয়ার সময় কোন ফলের সাথে কোন ফল খাওয়া যাবেনা সেটি মাথায় রাখতে হবে।আমার এই পোস্ট যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনার পরিবার ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url