স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় দেখে নিন
প্রিয় পাঠক আপনি কি স্টুডেন্ট? আপনি কি স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করে নিজের খরচ নিজেই চালাতে চান?সমাধান মিলবে এই পোস্টটিতে।
অর্থ উপার্জন করা কোনো সহজ বিষয় নয় এর জন্য প্রয়োজন মেধা,দক্ষতা, ধৈর্য ও পরিশ্রম।অনেক এমন মেধাবী ছাত্র ছাত্রী আছে যারা অর্থের অভাবে পড়াশুনা করতে পারেনা।তারা চাইলেই পড়াশুনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে নিজেরা ইনকাম করে নিজেদের পড়াশুনার খরচ নিজেরাই বহন করতে পারে।
ভূমিকা
প্রতিটি স্টুডেন্ট চাই আত্মনির্ভরশীল হতে।স্টুডেন্ট লাইফে ইনকামের মাধ্যমে একজন স্টুডেন্ট আত্মনির্ভরশীল হয়ে গড়ে উঠে।ছোট বড় এমন অনেক কাজ আছে যা দ্বারা খুব সহজেই আয় করা সম্ভব।
স্টুডেন্টরা চাইলেই অফলাইন বিভিন্ন জব অথবা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করেও ইনকাম করতে পারে।স্টুডেন্টরা পড়াশুনার পাশাপাশি আয় করলে তারা তাদের পড়াশুনার খরচ সহ নিজেদের ছোট খাটো সখও পূরণ করতে পারবে।
ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশুনার পাশাপাশি তাদের অবসর সময়কে আয় করে কাজে লাগাতে পারে।বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং স্টুডেন্টদের কাছে আয় করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে।এমন অনেক স্টুডেন্ট আছেন যারা ছাত্র জীবনে ফ্রিল্যান্সিং করে বর্তমানে এটিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি
পড়াশুনার পাশাপাশি স্টুডেন্টরা বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো জব যেমন পার্টটাইম জব করে ইনকাম করতে পারে।চলুন দেখা যাক স্টুডেন্টরা পড়াশুনার পাশাপাশি কি কি চাকরি করতে পারে দেখে নিই।
পার্ট টাইম জব:স্টুডেন্টদের জন্য সব থেকে ভালো হচ্ছে এই পার্ট টাইম জব।পড়াশুনার পাশাপাশি অবসর সময়ে তারা এই পার্ট টাইম জব করে সহজেই ইনকাম করতে পারে।পার্ট টাইম জব এর জন্য অনেক বেশি সময় দেয়ার প্রয়োজন হয়না।দিনের একটি নিদির্ষ্ট সময় অর্থাৎ কিছু ঘন্টা সময় দিলেই হয়।ফলে অটো স্টুডেন্টদের ইনকমের জন্য খুব ভালো একটি মাধ্যম।
শো-রুমের সেলস ম্যান: সেলস্ ম্যানের জব স্টুডেন্টদের জন্য অনেক ভালো একটি জব।এর মাধ্যমে হ্যান্ডসাম আমাউন্ট স্যালারি পাওয়া যায়।এমন অনেক শোরুম আছে যারা স্টুডেন্টদেরকে সেলস্ ম্যান হিসেবে নিয়োগ দিতে চাই।স্টুডেন্টরা পড়াশুনার পাশাপাশি সেলস্ ম্যানের জব করে খুব সহজেই আয় করতে পারে।
কোচিং এ জব:বর্তমানে বাংলাদেশে বহু কোচিং সেন্টার আছে যারা তাদের ছোটখাটো কাজের জন্য স্টুডেন্টদের কাজে রাখে।তাদের কোচিং এ ভর্তি নেয়া,বেতন নেয়া,স্টুডেন্টদের কল/মেসেজ দেওয়া,পরীক্ষার সময় ডিউটি দেয়ার জন্য স্টিদেন্টদের জব দিয়ে থাকে।আবার অনেক কোচিং আছে যারা ভালো স্টুডেন্টদের টিচার হিসেবে রাখেন।যারা অনেক ভালো স্টিদেন্ট তারা চাইলেই কোচিং এ টিচার হিসেবে জব করতে পারেন।
ডেলিভারি ম্যান:বাংলাদেশে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা হোম ডেলিভারির সার্ভিস দিয়ে থাকেন।সেক্ষেত্রে তাদের ডেলিভারি ম্যানের প্রয়োজন হয়।একজন স্টুডেন্ট চাইলেই তাদের অবসর সময়ে এই ডেলিভারি ম্যানের জব করতে পারেন।
রিসেলিং জব: রিসেলিং বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। রিসেলিং এর জন্য রিসেলের হয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।তারপর সেই রিসেলিং ওয়েবসাইট থেকে পণ্যের পিক নিয়ে সেই ছবির এবং সে পণ্যটির যে দাম টা থেকে বেশি দাম অর্থাৎ আপনাকে যে দামে পণ্যটি দেয়া হচ্ছে তার থেকে বেশি দামে পণ্যটির মার্কেটিং করতে হবে।
রেস্টুরেন্টে জব:এমন অনেক রেস্টুরেন্ট আছে যারা স্টুডেন্টদের ওয়েটার হিসেবে জব দিয়ে থাকে।এই সকল রেস্টুরেন্টে সাধারণত টাইম ভাগ করে দেয়া থাকে অর্থাৎ এক এক সময়ে এক এক ওয়েটার দায়িত্বে থাকবে।এমন রেস্টুরেন্টে অনেক স্টুডেন্টদের জব করতে দেখা যায়।
পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসা
সিভি লিখে ব্যাবসা:বর্তমানে অনেকেই আছেন যারা নিজেদের সিভি লিখতে পারেননা।সেক্ষেত্রে তারা একজন ভালো সিভি রাইটার খুঁজেন তাই সিভি রাইটার হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা।আপনি যদি একজন ভালো সিভি লেখক হয়ে থাকেন এবং ভালো সিভি বানাতে পারেন তাহলে এটা নিয়েই করতে পারেন ব্যবসা।এটি আপনি অনলাইনেও প্রচার করতে পারেন সেখানেও আপনি ভালো সাড়া পাবেন।
ফটোগ্রাফি করে ব্যবসা: ফটোগ্রাফি বর্তমান যুগে হতে পারে একটি ভালো ব্যবসা।আপনার যদি একটি টি ডি এস এল আর ক্যামেরা থেকে থাকে তবে আপনি ফটোগ্রাফির ব্যবসা করতে পারেন। আপনি যদি ছবি তুলতে পারদর্শী হন তবে এটি আপনার জন্য অনেক ভালো একটি ব্যবসা হতে পারে। আবার আপনি এই ব্যবসাটিকে অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার করে অনেক লাভবান হতে পারেন।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট: বর্তমান সময়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা। বর্তমানে অনেকেই আছেন যারা অনুষ্ঠানকে সুন্দর করে তুলতে বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজারদের খুঁজে বেড়ান। আপনি যদি যেকোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করতে পারেন এবং অনুষ্ঠানের জায়গাটা সুন্দর করে সাজাতে পারেন তবে আপনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা খুব সহজে করতে পারেন।
ফাস্টফুডের ব্যবসা: ফাস্টফুড এর ব্যবসা একজন স্টুডেন্ট এর জন্য অনেক ভালো একটি ব্যবসা হতে পারে। ফাস্টফুডের জন্য পুজি কম প্রয়োজন হবে। আজকাল সকলেই ফাস্ট ফুড খেতে পছন্দ করে বিশেষ করে স্টুডেন্টদের মধ্যে এর চাহিদা বেশি। রাস্তার পাশে ফুটপাততেও এ ব্যবসাটি করা যায়। পাসপোর্ট বানানো অনেক সহজ সেক্ষেত্রে আপনি যদি ফাস্টফুড খুব ভালো বানাতে পারেন তবে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।
স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম
স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম বলতে আমাদের মাথায় সবার আগে যেটা আসে সেটি হচ্ছে টিউশনি। তবে বর্তমানে স্টুডেন্ট লাইফের ইনকাম শুধুমাত্র টিউশনির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই বরং এর পরিধি আরো বিস্তৃত। বর্তমানে অনলাইন অফলাইনে বহু উপায় আছে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা ইনকাম করতে পারি। চলুন তাহলে দেখে নেই স্টুডেন্টরা অনলাইন এবং অফলাইনে কি কি উপায়ে ইনকাম করতে পারে।
টিউশনি: টিউশনি বহু আগে থেকেই স্টুডেন্টদের ইনকামের জন্য বহুল প্রচলিত একটি মাধ্যম। বেশিরভাগ স্টুডেন্টটি তাদের ইনকামের পথ হিসেবে টিউশনি কে বেছে নেয়। এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন বাসায় যেয়ে স্টুডেন্টদেরকে লেখাপড়া শেখায় এতে করে তাদের মাধ্যমে যেমন স্টুডেন্টরা উপকৃত হয় তেমনি নিজেরও কিছু আয় হয়। এতে করে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নিজেরও জানা হয় এবং লেখাপড়া চর্চায় থাকে। তবে বর্তমানে টিউশনিতেও আপডেট এসেছে আগে বাসায় যে একজন দুইজনকে পড়ানো যেত কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে একসাথে অনেকজন স্টুডেন্টকে পড়ানো সম্ভব হচ্ছে।
ইন্টেরিয়র ডিজাইন: বিভিন্ন বাসা বাড়ির মালিকরা তাদের বাসাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের খোঁজ করে থাকেন। আপনি যদি ইন্টেরিয়র ডিজাইন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন তবে আপনি খুব সহজেই এই কাজটি করে একটি ভালো পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ফেসবুক মার্কেটিং করে আয়: ফেসবুকে এমন অনেক পেজ আছে যারা তাদের মার্কেটিংয়ের জন্য লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে।আবার পেজের জন্য মডারেটরও নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাদের কাজ পেজকে মেইনটেইন করা। বিভিন্ন পেজে মডারেটর হিসেবে কাজ করেও ইনকাম করা যায়। সে ক্ষেত্রে সেই পেজের মডারেটরদের কাজ সময়মতো পেজের কাস্টমারদেরকে রিপ্লাই করা, পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো এবং বিভিন্ন সেবা দান করা।
রাইট শেয়ারিং: আপনার যদি বাইক থাকে তাহলে আপনি রাইট শেয়ারিং হয়ে ওয়েবসাইটের সাথে সংযুক্ত হয়ে রাইট শেয়ার করে ইনকাম করতে পারেন। একজন ইস্টুরেন্টের জন্য রাইট শেয়ারিং হতে পারে একটি ভাল ইনকামের মাধ্যম।
ছবি বা ভিডিও এডিটিং: অনলাইনে এমন অনেক প্লাটফর্ম আছে যারা ছবি বা ভিডিও এডিটিং মানুষকে দিয়ে করিয়ে থাকে। আপনি যদি ছবি এবং ভিডিও এডিটিং এ এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তবে আপনি অনলাইনে এসব করে আয় করতে পারেন। বর্তমানে ছবি এবং ভিডিও এডিটিং এর অনেক ডিমান্ড রয়েছে। আপনি যদি অনেক ভালো ভিডিও এবং ছবি এডিট করতে পারেন তবে এগুলো অনলাইনে প্রচারের মাধ্যমেও আপনি অনেক সারা পেতে পারেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং
পড়াশুনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং স্টুডেন্টদের জন্য হতে পারে অনেক ভালো একটি ইনকামের পথ। বর্তমানে বহু শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিংকে তাদের ইনকামের পথ হিসেবে বেছে নিচ্ছে। শুধু শিক্ষার্থী নয় বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে উপার্জন করার মনোভাব দেখা দিচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টর আছে যার কোন একটি সেক্টরের মাধ্যমে আপনি হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট এর অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ব্লগিং: একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। আবার এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা আর্টিকেল রাইটারদের থেকে অর্থের বিনিময়ে আর্টিকেল নিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আর্টিকেল লিখে আপনি বিক্রি করেও ইনকাম করতে পারেন। আবার যদি আপনার ব্লগার ওয়েবসাইট না থাকে সেক্ষেত্রে অন্যের ওয়েবসাইটে অর্থের বিনিময় আর্টিকেল রাইটার হিসেবেও কাজ করতে পারেন। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা এই সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে তার মধ্যে অর্ডিনারি আইটি একটি। আপনি চাইলে সেখানে অনলাইন ও অফলাইন কোর্স করে ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করা শিখতে পারেন।
ডাটা এন্ট্রি: স্টুডেন্টরা চাইলে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিতে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ইনকাম করতে পারে। এটি মোবাইল বা কম্পিউটার যেকোনো একটি ব্যবহার করেও করা যাবে। এটি সাধারনত বিভিন্ন ধরনের ফাইলকে অনলাইনে ইনপুট করতে হয়। আপনি যদি টাইপিং এ অনেক ভালো হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই ডাটা এন্ট্রির কাজটি করতে পারেন। ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে টাইপ করে বিভিন্ন ডাটাকে ইনপুট দিতে, ডেটাকে এডিট করতে হয় এবং ডেটা ভেরিফাইড করতে হয়। এছাড়াও মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্ট্রির অনেক কাজ পাওয়া যায়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন: স্টুডেন্ট লাইফে ইনকামের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। আপনি যদি ডিজাইনে পারদর্শী হয়ে থাকেন তবে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে একটি কোর্স করেই আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে নিতে পারেন। মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আবার আপনি চাইলে নিজেই নিজে ডিজাইন করে মার্কেটপ্লেসে সেগুলো বিক্রি করতে পারে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: আপনি যদি ওয়েবসাইট ডিজাইনে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য বিভিন্ন মানুষকে হায়ার করে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি এই ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন তবে আপনি এক্ষেত্রে অনেক কাজ পাওয়া সম্ভবনা রয়েছে। আবার অনেক এমন প্রতিষ্ঠান আছে যারা ওয়েবসাইট ডিজাইন শিখিয়ে থাকে আপনি চাইলে সে সকলের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েও এই কাজটি করতে পারেন। আবার আপনি চাইলে একটি ওয়েবসাইটকে সুন্দর করে ডিজাইন করে সেটি বিক্রি করতে পারেন। ইউটিউবেও এ সম্পর্কিত অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়।
অ্যাফিলিট মার্কেটিং: অ্যাফিলেট মার্কেটিং ছাত্রদের জন্য অনেক ভালো একটি ইনকামের পথ হতে পারে। কোন কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের পণ্য বিক্রি করে দেওয়ার বিনিময় তারা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে থাকে এটি হচ্ছে এফিলেট মার্কেটিং। বাংলাদেশে এমন অনেক ধরনের ওয়েবসাইট বা কোম্পানির রয়েছে যারা অ্যাফিলেট মার্কেটিং এর জব দিয়ে থাকে।
ছাএ ছাএীদের জন্য ইনকাম
ইতিমধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের ইনকাম করা আর অনেক মাধ্যম সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি। সে সকল মাধ্যম ছাড়াও আরো কিছু মাধ্যম রয়েছে। চলুন এখন আমরা সে সকল মাধ্যম গুলো জেনে নিই।
ইউটিউব থেকে ইনকাম: ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বা রিলিজ বানিয়া আপলোড করে সেখান থেকে ভিউস এবং লাইক কমেন্ট এর মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব। আপনি যে বিষয়টি সবথেকে ভালো পারেন সেটা নিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন। আপনি যদি ম্যাথে ভাল হয়ে থাকেন তাহলে ম্যাথমেটিক্যাল সলভ নিয়েও ভিডিও বানাতে পারেন আজকাল বিভিন্ন শিক্ষার্থী তাদের ম্যাথমেটিকাল বিভিন্ন সমস্যার জন্য ইউটিউবে সার্চ দিয়ে থাকে এক্ষেত্রে আপনার ভিউজ ভালো পাওয়া যাবে।
ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম: আপনার যদি একটি ফেসবুক আইডি থাকে তবে আপনি সে আইডি থেকে একটি ফেসবুক পেজ খুলে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানিয়ে বা কনটেন্ট ক্রিয়েট করে ইনকাম করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ফিউজ যত বাড়বে লাইক কমেন্ট বাড়বে তখন আপনি মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন এবং এই মনিটাইজেশন অন করার পরেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
সিপিএ মার্কেটিং: ভিডিও লাইক কমেন্ট সাবস্ক্রাইব করার ইমেইল তৈরি করা এগুলো সাধারণত সিপিএ মার্কেটিং এর কাজের অন্তর্ভুক্ত। সিপিএ মার্কেটিং অনেক সহজ একটি কাজ। যে কেউ এ কাজগুলো খুব সহজে করতে পারে তাই ছাত্রদের জন্য সিপিএম মার্কেটিং হতে পারে অনেক ভালো একটি ইনকামের পথ। আপনার যদি একটি স্মার্ট ফোন থেকে থাকে তবে খুব সহজে এই সিপিএ মার্কেটিং এর কাজগুলো করে ইনকাম করতে পারেন।
এসইও এক্সপার্ট: আপনার যদি এসিও সম্পর্কে অনেক ভালো ধারণা থাকে এবং আপনি যদি অনেক ভাল এসিও করতে পারেন তবে এই এসিওর মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে অনেক এমন প্রতিষ্ঠান আছে যারা ভালো এসইও এক্সপার্টদের খুঁজে বেড়ায় তাদের সহায়তা করেও আপনি ইনকাম করতে পারেন।
মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আমার এই আর্টিকেলটিতে আমি স্টুডেন্টদের ইনকাম করার বিভিন্ন মাধ্যম তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আসা করি আপনারা এই আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হবেন। আপনার যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি যদি এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আপনি আপনার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন।ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url