কোরিয়ান মেয়েদের রূপের রহস্য-কোরিয়ান ফেসপ্যাক সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনি কি কোরিয়ান মেয়েদের রূপের রহস্য জানতে চান তবে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। এই পোস্টটিতে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিন,কোরিয়ান ফেসপ্যাক এবং কোরিয়ান বিউটি টিপস,গ্লাস স্কিন পাওয়ার উপায় সহ কোরিয়ান যাবতীয় বিষয় আলোচনা করা হয়েছে
কোরিয়ান মেয়েদের রূপের রহস্য ও কোরিয়ান ফেসপ্যাক সম্পর্কে জেনে নিন
কোরিয়ানদের ত্বক দেখে মুগ্ধ হয়নি এমন খুব কম মানুষই আছে। কোরিয়ানরা তাদের ত্বকের যত্নে অনেক সচেতন।কোরিয়ানরা তাদের ত্বকের যত্নে রুটিন মেনে চলেন।কোরিয়ান মানুষের ত্বক দাগহীন,উজ্জ্বল,কোমল ও প্রাণবন্ত যা প্রতিটি মানুষই চান।কোরিয়ানরা তাদের ত্বকের সুন্দর্য ধরে রাখতে বেশ পরিশ্রমও করেন বটে।বর্তমানে বিভিন্ন দেশের মানুষ কোরিয়ানদের মত ত্বক পেতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।আর এর কারণেই বর্তমানে কোরিয়ান প্রসাধনী বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের মার্কেটে দেখা মিলছে।

ভূমিকা

ত্বকের যত্নে কোরিয়ানরা তাদের ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনীর ব্যবহার করে থাকেন।তারা তাদের ত্বকের যত্নের কোনো কমতি রাখেন না।বর্তমানে কোরিয়ানদের মত সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার আসায় বিভিন্ন দেশের মানুষ তাদের প্রোডাক্টের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

ত্বকের সঠিক যত্ন নিলে ত্বক সুন্দর কোমল ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।তায় নিয়ম যত্ন নেয় জরুরি।এই পোস্টটিতে কিভাবে কোরিয়ান মেয়েদের মত ত্বক পেতে ঘরোয়া উপকরণ নয় আলোচ্য করেছি।

কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিন

যে কোনো ধরনের ত্বকের যত্ন নিতে চাইলে একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলতে হবে। কোরিয়ান স্কিনের ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম নয়।বেশ কয়টি ধাপ মেনে ত্বকের যত্ন নিতে হয় চলুন জেনে নেয়া যাক।

আরও পড়ুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন যেভাবে নিবেন

ফেসওয়াশ: ত্বককে সুন্দর ও সুস্থ রাখতে ত্বককে পরিষ্কার করা জরুরি। তায় প্রতিদিন দুইবার করে ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বককে পরিষ্কার রাখেন কোরিয়ানরা। পরিষ্কার ত্বকের ফলে ত্বকে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায় ফলে ব্রণ থেকে শুরু করে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা কম দেখা দেয়। ত্বকের ধরন বুঝে ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।


স্ক্রাব: নিয়ম মেনে মাসে দুই থেকে তিন বার স্ক্রাব করতে হবে এতে তোকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হবে। ত্বকের পরে জমে থাকা ময়লা থেকে পরে বন্ধ হয়ে ব্রণ হতে পারে তায় স্ক্রাব করা জরুরি। তবে শুষ্ক তোকে স্ক্রাব নে করাই ভালো এতে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে যাবে ত্বক আদ্রতা হারাবে।


টোনার: ত্বকের ph ব্যালেন্স করে টোনার।টোনার ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। তায় ত্বক পরিষ্কার পর পর টোনার ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের ধরন বুঝে টোনার ব্যবহার করতে হবে অথবা ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী টোনার ব্যবহার করতে হবে।ত্বকের ধরন ও প্রয়োজন বুঝে টোনার ব্যবহার না করলে ত্বক সমস্যা দেখা দিতে পারে।


সানস্ক্রিন: ত্বককে রোদের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন এর কোনো বিকল্প নেই । সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির প্রভাবে তোকে ট্যান পরে যায় যার ফলে ত্বক কালো দেখায়।তায় সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি ।

কোরিয়ানরা ঘরে এবং বাহিরে দুই জায়গাতেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করে থাকেন।মনে রাখতে হবে দুই ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।

সিরাম: সিরাম মূলত ত্বকের খাদ্য হিসেবে কাজ করে থাকে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সিরাম ব্যবহার করতে হবে। এক এক সময় তোকে এক এক সমস্যা দেখা দেয় সেই সমস্যা অনিজাইয়ে সিরাম বাছাই করে ব্যবহার করতে হবে। কোরিয়ানরা মূলত তাদের ত্বককে হাইড্রেট রাখতে ত্বকের ধরন ও সমস্যা বুঝে সিরাম ব্যবহার করে থাকেন।


মোসচারাইজার: শীত হোক কিংবা গ্রীষ্ম ত্বককে হাইড্রেট রাখতে মশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। কোরিয়ানরা সব সময় তাদের ত্বক হাইড্রেট রাখতে এটি ব্যবহার করে থাকেন।ত্বককে কোমল রাখতে এটি অনেক ভালো কাজ করে ত্বকের ধরন বুঝে মোসচারাইজের ব্যবহার করতে হয়।


শিট মাস্ক: মাসে দুই থেকে তিন দিন কোরিয়ানরা তাদের রুটিন শিট মাস্ক রাখেন। শিট মাস্ক ত্বককে হাইড্রেট রাখে। ত্বকের শুষ্কতা দূর করে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

কোরিয়ান মেয়েদের রূপের রহস্য

কোরিয়ানদের সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক আমরা সকলেই মুগ্ধ হই জার ফলে কোরিয়ান মেয়েদের রূপের রহস্য জানতে আমরা সকলেই আগ্রহী।কোরিয়ান মেয়েরা নিয়মিত তাদের ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকে।

শুধু তায় এ নয় তারা তাদের খাবার বিষয়ে বেশ সচেতন।তারা তাদের ডায়েটে এমন খাবার রাখেন যা শরীর ও ত্বকের জন্য উপকারী।ত্বককে সুন্দর ও সুস্থ রাখে শুধু বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করলেই চলবেনা ত্বককে ভিত। থেকে সুন্দর করতে হবে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি সম্বৃদ্ধ খবর খেতে হবে।

এতে ত্বক ভিতর থেকে সুন্দর হয়ে উঠবে।দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে নয়তো এর চাপ চেহারাতে পড়বে।কোরিয়ানরা বিভিন্ন ধরনের ফেস এর ব্যাম ও করে থাকেন যার ফলে তাদের ত্বক থাকে টান টান।ফেস ম্যাসেজ রক্ত সঞ্চালন সঠিক রাখতে সাহায্য করে তায় মাসে দুই বার ফেস ম্যাসেজ নিয়ে প্রয়োজন। 

আমাদের ত্বক সব সময় একই রকম থাকেনা ত্বক এক এক সময় এক এক রকম হয় কখনও তৈলাক্ত,কখনও শুষ্ক তায় ত্বকের ধরন বুঝে সে অনুযায়ী ত্বকের যত্ন নিতে হবে। ত্বকের ধরন বুঝে ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।ত্বকের ধরন বুঝে যত্ন না নিলে ত্বক এর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে।আপনার ত্বক কেমন টা খুব সহজেই ঘরে বসে পরীক্ষা করে নিতে পারেন। 

ত্বক ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে মুছে নিবেন তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন যদি ত্বক অনেক শুষ্ক শুষ্ক মনে হয় টান ধরে তোকে তাহলে আপনার ত্বক শুষ্ক,যদি তোকে তৈলাক্ত ভাব দেখা দেয় তবে ত্বক তৈলাক্ত,যদি কপাল নাক এগুলো তৈলাক্ত বাকি অংশ শুষ্ক থাকে তবে আপনার ত্বক মিশ্র। 

এভাবে প্রতি ঋতুতে ত্বকের পরীক্ষা করে ত্বকের যত্ন নিতে হবে।আবার আমরা অনেকে মনে করি যে শুধু শুষ্ক ত্বকে মশ্চরাইজার ব্যবহার করতে হয় তবে এমনটি নয় শুষ্ক ত্বকের মতো তৈলাক্ত ত্বকে ও মশ্চরাইজার এর প্রয়োজন হয় তবে শুষ্ক ত্বকে আর তৈলাক্ত ত্বকে র জন্য আলাদা ধরনের মসচারাইজার রয়েছে।আবার ত্বককে প্রয়োজনের বেশি এক্সফলিয়েট করলে ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

কোরিয়ান ফেসপ্যাক

কোরিয়ানরা তাদের রূপচর্চায় বিভিন্ন প্রকারের ফেসপ্যাক ব্যবহার করে থাকেন। কোরিয়ানদের  ফেসপ্যাক গুলো খুব সহজে ঘরে বসে বানানো যায় আর এ ফেসপ্যাক ব্যবহার করে বাজার থেকে কিনে আনা কোরিয়ান প্রোডাক্ট এর মতই ফল পাওয়া যায়। এ প্যাক গুলো ও ত্বককে উজ্জ্বল করে গ্লাস স্কিন লুক দেই।তো চলুন দেখে নেই কিভাবে কোরিয়ান ফেসপ্যাক বানাতে হয়।

  • চালের আটার ফেসপ্যাক: দুই চামচ চালের গুড়া,পরিমাণ মতো দুধ ও হাফ চামুচ মধু মিক্স করে পুরো মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।ত্বক কোরিয়ানদের মতো উজ্জ্বল দেখাবে।
  • তিসির ফেসপ্যাক:২ চামুচ তিসির সথে কাছ দুধ মিশিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিতে হবে তারপর ব্লেন্ড করে তাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিক্স করে মুখে লাগিয়ে ১০/১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • বেসনের ফেসপ্যাক: দুই চামচ বেসন,এক চামচ টক দই,সামান্য পরিমাণ হলুদ,হাফ চামচ মধু,একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিক্স করে মুখে ম্যাসেজ করুন তারপর ৫ মিনিট মুখে রেখে মুখ হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • ভাতের ফেসপ্যাক: ভাতের ফেসপ্যাক বানানোর জন্য ভাতের চল ভালো মতো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে তারপর ৫/৬ ঘণ্টার মতো পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এর পর চুলায় বসিয়ে পানি দিয়ে ভাত রান্না করতে হবে পানি একটু বেশি দিতে হবে তারপর ভাত পানি পানি থাকা অবস্থায় নামিয়ে টা ব্লেন্ড করে নিতে হবে এরপর এতে আলোভেরা জেল, অলিভ অয়েল বা যে কোনো তেল মিক্স করে মুখে লাগিয়ে সুখিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

গ্লাস স্কিন পাওয়ার উপায়

বর্তমানে গ্লাস স্কিন পাওয়া একধরনের ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে সকলেই চান গ্লাস এর মতো স্বচ্ছ ত্বক পেতে।কোরিয়ানদের ত্বক উজ্জ্বল স্বচ্ছ গ্লাস স্কিন এর মত হয়ে থাকে এটি সকলেই আকর্ষণ করে। 

আমারা ত্বকের যথাযথ যত্নের মাধ্যমে গ্লাস স্কিন পেতে পারি।এমনকি আমাদের ঘর থাকে কিছু উপাদান ব্যবহার করে গ্লাস স্কিন পেতে পারি।সাধারণত ডিমের সাদা অংশ, চাল/ভাত, তিসি ব্যবহার করে আমরা খুব সহজেই কোরিয়ানদের মত ত্বক পেতে পারি।

শুধু চাল ভিজানো পানি টোনার হিসেবে ব্যবহার করেই অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়।আবার ভাত এর মাস্ক ব্যবহার করেও ত্বককে উজ্জ্বল করা সম্ভব।ত্বকের যত্নে তিসির জুরি মেলা ভার। তিসি ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।

তিসির মাস্ক ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠে কোরিয়ানদের মতো উজ্জ্বল। আবার ডিমের সাদা অংশ ত্বককে টান টান রাখতে সাহায্য করে।ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে আবার অন্য দিকে ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। সপ্তাহে দুই দিন ডিম এর সাদা অংশ ত্বকে ব্যবহার করা উচিত এতে ত্বক টান টান থাকবে। ত্বকের তারুণ্য বজায় থাকবে।বাসায় থাকা এই সকল জিনিস দিয়ে খুব সহজেই কোরিয়ানদের মত ত্বক পাওয়া সম্ভব।

মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আমার এই পোস্ট গুলো যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে আপনার পরিবার ও বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url